প্রতিবছরের মতোই এ বছরেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একুশে জুলাই এর শহীদদের উদ্দেশ্যেসভা অনুষ্ঠিত হয় এ বছরে তারা ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিবছর এই দিনটিতে তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ তর্পণ করে থাকে ধর্মতলায় সিএসই সদর দপ্তর ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে।কারণ এখানেই ১৯৯৩ সালে তৎকালীন রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে ভোটার আইডি কার্ড কে ভোটদানের পরিচয় পত্র করার দাবিতে তারা রাজ্যের সচিবালয় রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। এখন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বটে। কারণ সে সময় রেশন কার্ডকেই ভোট দেননি পরিচয় পত্র হিসেবে গণ্য করা হতো। এই অভিযানের সময় ১৩ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সেই থেকে তিনি এই একুশে জুলাই দিনটিকেই শহীদ দিবস ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে এই সমাবেশ করছেন।এ বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রচুর সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন এবং মিছিলে যোগদান করেছেন। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সদ্য লোকসভা এবং কিছু বিধানসভা আসনের বিজয়ী প্রার্থীরা ছাড়াও সমাজের বিশিষ্ট মানুষজন তারা প্রতিবছরের মত এ বছরও উপস্থিত হয়েছিলেন। এবারের সভার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের উপস্থিতি গতকালই তিনিজানিয়েছিলেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি এই সভা মঞ্চে যোগদান করবেন। তার সেই ইচ্ছা অনুসারে এবারে সভা মঞ্চ অখিলেশ যাদবকে বক্তৃতা দিতে দেখা গেল, এবং আরো একটি বিষয় বাগদা থেকে জিতে আসা মধুপর্না ঠাকুর সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক তিনিও এবারে এই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখলেন। সর্বভারতী তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে নির্বাচনে তিনি তার যে রেকর্ড ভোটে জেতার সাফল্য সেই সাফল্যের জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন পাশাপাশি তিনি এও বললেন যে তাকে এবং তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে হেনস্থা করেছেন, এসব সত্ত্বেও তাকে এবং সর্বোচ্চ তৃণমূল কংগ্রেসকে সদ্য সমাপ্ত হওয়ার লোকসভা নির্বাচন এবং কয়েকটি বিধানসভা উপনির্বাচনে মানুষ কিভাবে জেনারেল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে তিনি বাংলার মা মাটি মানুষকে ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার এবং হ্যালো স্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান। আগামী দিনেও এই লড়াই জারি থাকবে বলেও তিনি সেই মঞ্চ থেকেও ঘোষণা করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার বক্তব্য শোনার জন্য এত মানুষের ভিড়ে এবং এত আয়োজন এবং তিনি একুশের মন্ত্র থেকে কি বার্তা দেন সেদিকে সবারই নজর ছিল।, তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসে বিত্তবান নয়, চাই বিবেকবান মানুষ অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে তিনি পাশে নিয়ে চলার অঙ্গীকার করেন এবং তাদেরকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাশাপাশি এও জানান। যে সকল আসনে তারা সাফল্য পাননি সেখানে মানুষকে বোঝাতে এবং আগামী দিনে তারা যাতে যাতে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকে সেজন্য সমস্ত কর্মীদেরকে আহ্বান জানান। পাশাপাশি যিনি এও জানান যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে এখানের মানুষের কাছে যেতে হবে তাদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে হবে এবং তারা তাদের কি সুবিধা অসুবিধা আছে বারংবার তাদের থাকে সেটা জিজ্ঞেস করতে হবে এবং যাতে তারা কোনভাবেই বঞ্চিত না হন। সেটা নজর দিতে হবে। তিনি বলেন পয়সা আসে এবং চলে যায় কিন্তু মানুষকে সেবা করার কোন বিকল্প হয় না এবং তৃণমূল কংগ্রেস করতে গেলে সবাইকে পাশে নিয়ে চলতে হবে মানুষকে বোঝাতে হবে মানুষের পাশে সারা বছর সব সময় থাকতে হবে। তিনিও বলেন যে আমার দশ লক্ষ সরকারি চাকরি তৈরি আছে কিন্তু আমি চাকরি দিতে গেলেও কেউ কেউ আদালতে চোটে অর্থাৎ বিজেপিকে তিনি আক্রমণ করলেন। কখনো বলছেন ছাব্বিশ হাজারের চাকরি খাবে কখনও বলছে ৪২ হাজার চাকরি খাবে। তিনি বলেন মনে রাখবেন যে কারো চাকরি যাবে না সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন। তিনি বলেন তারা বলে দারিদ্র্যসীমা ৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। লোকসভায় 38% তারা মহিলা প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। বললেন বড় গাড়িতে ঘুরাচ্ছে কে পায়ে হেঁটে ঘুরুন সাইকেলে ঘুরুন বা স্কুটারে চেপে ধরুন তাতে শরীর ভালো থাকবে। তুমি সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তাদের পাশে থাকার জন্য।। বললেন কোন অন্যায় করবেন না এবং কোন অন্যায় দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন আমি কিন্তু অন্যায়কে প্রশ্রয় দিনাথ যে গ্রেপ্তার করি এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস অন্যায় করলে তাদের গ্রেফতার করি। বলেন যা করতে পারবেন সেটাই মানুষকে বলবেন যেটা পারবেন না সেটা দলকে জানাবেন। অর্থাৎ সর্বোপরি তিনি সবাইকে মানুষের পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান এবং সর্বোপরি দলের পাশে ও থাকার কথা বলেন কোন বাদ বিচার করা চলবে না এবং তৃণমূল কংগ্রেস করতে গেলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে সে কথাই তিনি বারংবার বুঝিয়ে দেন। বিশেষ করে তিনি আরো বলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার এজেন্সিদের বিরক্ত করা সত্ত্বেও মানুষ পাশে থেকেছে তাতে মানুষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বললেন যত জিতব তত আমাদের দায়িত্ব বাড়বে উত্তরবঙ্গে তাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে তিনি আশা করেন আগামী দিনের উত্তরবঙ্গের মানুষ তাদের পাশে থাকবেন।