গত সোমবার বাঘাযতীন সংলগ্ন অশ্বিনী নগরের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার যার আনুমানিক বয়স ৬৫ বছর। তিনি গত মঙ্গলবার মৌনী অমাবস্যার ভোর পাঁচটায় শাহী স্নান করবেন বলে তার বাড়ি থেকে তার সঙ্গে ছেলেমেয়ে এবং তার বোনকে নিয়ে এলাহাবাদ বা প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু এত মানুষের সমাগমে এবং সেই মাহেন্দ্রক্ষণে স্নান করার জন্য ওই সঙ্গমস্থলে প্রচন্ড হুড়োহুড়িতে তিনি পড়ে গিয়ে কত পৃষ্ঠ হন। এবং সেখানেই তিনি বেঘোরে প্রাণ হারান। সেই সময় তার ছেলে সুরজিৎ পোদ্দার কাউকে পাশে পাননি বলেই জানান, অর্থাৎ প্রশাসনের কাউকে বা চিকিৎসা পরিষেবার জন্য কোন রকম সাহায্য পাননি। এমনকি তিনি জানিয়েছেন সেখানে কোনরকম ডেট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি কোন সরকারি নথি তাকে একটি কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবং বাড়ি পাঠানোর জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং পুলিশ কনস্টেবলকে দিয়ে দেয়। যোগী সরকারের ঘোষণামত কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ২৫ লক্ষ টাকা তারা পাবেন কিনা সে ব্যাপারে এখনও তারা যথেষ্ট সন্ধিহান। কারণ সেখান থেকে কোন সরকারি নথি তাদের দেওয়া হয়নি। তাদের এইটুকুই জানানো হয়েছে পরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সেটাও তারা কবে পাবেন তা তারা জানেন না। আজ সন্ধে নাগাদ তার দেহ সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখানে কিছু সরকারি কাজকর্ম ামাফিক করা হয়। এবং তারপর তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়, আগামীকাল সকালে তার ময়নাতদন্ত হবে এবং তারপরেই দেহ সৎকার করা হবে বলে সূত্র মারফত জানতে পারা যাচ্ছে। এখানে তার দেহ নিয়ে আসা হলে তার আত্মীয় পরিজনরা ক্ষোভে এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।