আরজি করে ডাক্তারি পড়বার মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে একদিকে কলকাতায় যেমন জনরোষের আকার ধারণ করেছিল। চলছিল জায়গায় জায়গায় মোমবাতি মিছিল এবং ন্যায্য বিচারের জন্য প্রার্থনা। দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে ৮বি গড়িয়াহাট মোড় একাডেমি চত্বর শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় সহ সমস্ত জায়গাতে একই কারণে এত জন রোষ আগে কেউ কোথাও কোনদিন দেখেছে বলে মনে হয় না মনে হচ্ছিল মাঝরাত্তিরে যেন অকালবোধন তৈরি হয়েছে। অপরদিকে আমরা দেখলাম এই ঘটনার প্রতিবাদে যখন চারিদিকে প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ গর্জে উঠেছে ঠিক সেই সময়ই প্রায় মাঝরাত্রে আনুমানিক বারোটার আশেপাশে আরজি করে ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের তান্ডব লীলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করনের চেষ্টা করছে চেষ্টা করছে। এরই পাশাপাশি দেখা গেল তারা যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে হাসপাতালের সেই সময় ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে বেশ কিছু রোগী ভিডিও ভর্তি ছিল। গতকাল সেই রাতে যারা হাসপাতাল কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক এবং অন্যান্যরা যারা ছিল তারা এখনও শিহরিত হয়ে উঠছে এই ঘটনায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল কম্পিউটার ওষুধপত্র এমনকি বেশ কিছু জীবন দায়ী ওষুধপত্র ওষুধ পত্র শৌচাগার ভাঙচুর করেছে। সেইসঙ্গে প্রতিটা সিসিটিভি তারা ভেঙে কার্যত গুড়িয়ে দিয়েছে সেই নারকীয় ঘটনা চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসপাতাল চত্বরে রোগী ভর্তির বদলে তারা বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে এরকম একটা ছবি দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা তারা তাদের ন্যায্য দাবি থেকে ঝরছে না তারা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছে। তাদের একটাই দাবি এই মৃত্যুর ন্যায্য বিচার এবং সেই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথাযথ না করলে তারা পরিষেবা দিতে পারবে না এমনটাই তারা দাবি করছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আবার কবে আগের মত হবে একমাত্র ভবিষ্যতের সময় এর উত্তর দিতে পারবে।গতকাল মধ্যরাতে ভাঙচুরের পর আজ মাননীয় রাজ্যপাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।