মৃত্যুর নেপথ্যে কি র‍্যাগিংয়? তদন্ত কমিটি গঠন করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
মৃত্যুর নেপথ্যে র‍্যাগিং? তদন্ত কমিটি গঠন করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

অভীক পুরকাইত,যাদবপুর– পড়ুয়ার মৃত্যু আদৌ কি আত্মহত্যা? নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু? ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করল তদন্ত কমিটি।মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ক্যাম্পাস চত্ত্বর। তবে স্নাতক প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু কি আদৌ আত্মহত্যা? নাকি নেপথ্যে র‍য়েছে অন্য কিছু? ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবার বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হল তদন্ত কমিটি। ডিন অফ সায়েন্সকে চেয়ারম্যান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে প্রত্যেকটি ছাত্র ইউনিয়নের একজন করে সদস্য এবং শিক্ষকদের প্রতিনিধিও রাখা হচ্ছে। মোট সাত জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে গঠিত হচ্ছে এই কমিটি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ কর‍তে হবে কমিটিকে। অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির পাশাপাশি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবে এই কমিটিও। ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নদিয়ার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। দুই দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ফেসবুক পোস্টে কড়া সমালোচনা করলেন তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কুণাল চট্টোপাধ্যায়। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,’একটি প্রথম বর্ষের ছাত্র র‍্যাগিংয় এর শিকার হয়ে একটু আগে মারা গেছে। আমার মনে পড়ে, র‍্যাগিংয় সত্যিই র‍্যাগিংয় কিনা, সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দিয়ে ঠিক করতে হবে, এই কথা বলে প্যামফ্লেট প্রকাশ করে ঐ সব কাজের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে চাওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর পর নিজেদের গা বাঁচানোর চেষ্টা অনেকেই করবে। যখন র‍্যাগিংয়, যৌন হয়রানি, জাত তুলে অপমান, এসব নিছক ইউনিয়ন দখলের রাজনীতিতে পরিণত হয়, “আমার পক্ষ” অভিযুক্ত হলে তাকে বাঁচানো প্রধান কাজ হয়, তখন এসব নিয়ে গালভরা নৈতিক কথা বলে আর লাভ নেই।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 + five =