রানা চক্রবর্তী, কলকাতা : আজ ডুরান্ড কাপ প্রতিযোগিতায় গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতার মহামাডান স্পোর্টিং ও জামশেদপুর। এই ম্যাচটি মোহামেডানের কাছে মরণবাচন ম্যাচ ছিল। কোয়াটার ফাইনালে উঠতে গেলে আজ তাদের ন্যূনতম সাত গোলে জিততে হতো। সেই মতোই প্রথম থেকেই মোহামেডান প্রতিপক্ষ সীমানায় ঝড় তোলে। ১০ মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডার সাঙ্গা প্রথম গোল করেন। প্রথম গোল পেয়ে উদ্বুদ্ধ মোহামেডান ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের ওপরে। ১৬ মিনিটের মাথায় সাঙ্গা নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন। ২৮ মিনিটে স্ট্রাইকার ডেভিড দলকে 3-0 গোলে এগিয়ে দেন। জামসেদপুর কোন আক্রমণি গড়ে তুলতে পারেনি উল্টে প্রথমার্ধের শেষ দিকে মোহামেডানের একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় যুইডিকার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য মোহামেডান কে একটু ক্লান্ত দেখাচ্ছিল কিন্তু কোচ সঠিক সময় সঠিক পরিবর্তন করে দলকে আবার চাঙ্গা করে তোলেন। এই সময় জামশেদপুর অবশ্য তেড়েপুড়ে কিছু আক্রমণ করেছিল। তারা একটি পেনাল্টি সুযোগও হাতছাড়া করে। এরপরেই মোহামেডান আবার আক্রমণের ঝড় তোলে এবং ৬৯, ৮২ ও ৮৮ মিনিটে ডেভিড আরও তিনটি গোল করেন। মহামাডানের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না কারণ দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে এলেক্সের শট ক্রসবারে আছড়ে পড়ে। ৬-০ জেতার ফলে মোহামেডান স্পোর্টিং গোল এভারেজে ডুরান্ড থেকে সম্ভবত বিদায় নিতে চলেছে এই বছর। খেলার শেষে মোহামেডান খেলোয়াড়েরা হতাশায় মাঠেই শুয়ে পড়েন তবে সদস্য ও সমর্থকরা দলের লড়াইকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।