ছবি : সুদীপ চন্দ

সুদীপ চন্দ ও রানা চক্রবর্তীকলকাতা : কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয়েছিল এফসি গোয়া ও মোহনবাগান। ম্যাচের ২৩ মিনিট এফসি গোয়াকে এগিয়ে দেন নোহা। কামিন্সের গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। এরপরে বাগানকে এগিয়ে দেন সাদিকু। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে সেমির ম্যাচ জেতে সবুজ মেরুন ব্রিগেড।তবে ম্যাচের প্রথমে পিছিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান।

ছবি : সুদীপ চন্দ

আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে খেলছে দুই দল। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়েনি।খেলার প্রথম থেকে চাপ বাড়িয়েছে গোয়া। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে আক্রমণে উঠছে তারা। প্রথম ৫ মিনিটেই বাগানের গোল লক্ষ্য করে দু’টি আক্রমণ হয়। মাঝমাঠে বল ধরতে পারছেন না বাগান ফুটবলারেরা। যদিও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি গোয়া।

ছবি : সুদীপ চন্দ

১৮মিনিটের মাথায় গোয়ার গোল লক্ষ্য করে প্রথম ভাল আক্রমণ করে মোহনবাগান। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শট মারেন পেত্রাতোস। বল বাঁচিয়ে দেন গোয়ার গোলরক্ষক ধীরাজ। ২২ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে গেল গোয়া। নিজেদের অর্ধে ভুল করেন হুগো বুমোস। তাঁর দুর্বল পাস ধরে বেশ খানিকটা দৌড়ে গিয়ে দ্বিতীয় পোস্টে গোল করেন গোয়ার নোয়া। সেই মূহুর্তে গোটা মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। বলের দখল থেকে আক্রমণ, সবেতেই এগিয়ে গোয়া।অবশেষে সমতা ফেরায় মোহনবাগান পেনাল্টি থেকে। বাগানের ফুটবলার সাহালকে ফাউল করেন গোয়ার ফুটবলার। খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল ফাউল বক্সের বাইরে হয়েছে। গোয়ার ফুটবলারেরাও লাইন্সম্যান ও রেফারির কাছে সেই দাবিই জানান। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেন। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি কামিংস।

ছবি : সুদীপ চন্দ

দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যান বাগান। সন্দেশ জিঙ্ঘনের ভুলে বক্সের বাইরে বল পান পরিবর্ত হিসাবে নামা আর্মান্দো সাদিকু। বক্সের বাইরে থেকেই ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন তিনি।

ছবি : রানা চক্রবর্তী

শেষ মুহূর্তের খেলা চলছে। ফ্রি কিক থেকে আসা বলে হেড করেছিলেন গোয়ার ফুটবলার নোয়া। সেই বল গোলের মধ্যে ছিল। মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল শরীর ছুড়ে সেই বল বাঁচান। আগামী রবিবার যুবভারতীতে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ১৯ বছর পর এই দুই দল ডুরান্ড ফাইনাল এ মুখোমুখি হচ্ছে। এর আগে দুই দলই ১৬ বার করে এই ট্রফি জিতেছে। এবার কোন একটি দলের এগিয়ে যাবার পালা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen + 10 =