১লা ফেব্রুয়ারি,আরো একবার বর্তমান আর্থিক বছরের (২০২৫ ২৬)মোদি সরকারের বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

এমনিতেই মোদি সরকারের জনবিরোধী আর্থিক নীতির ফলে দেশের মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আবার মরার ওপর খাড়ার ঘা জনবিরোধী পপকর্ন জি এস টি র জন্য জনজীবন বিপর্যস্ত।

মোদি সরকারের জনবিরোধী আর্থিক নীতির ফলে অস্বাভাবিক ভাবে টাকার মূল্যে রেকর্ড পতনের(১ডলার সমান ৮৭টাকা) জন্য আমদানি খরচ বৃদ্ধি হয়েছে,নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

মোদি সরকার বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত,গত ৯ বছরে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা দেনা করেছে,দেশের মোট দেনার পরিমাণ দাড়িয়েছে ১৭৬ লক্ষ কোটি টাকা,একটি শিশু জন্মালে তার মাথায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা দেনা নিয়ে জন্মাবে।

দেশে সোনার দাম দিন দিন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।২০১৪ সালে যে সোনা ১০ গ্রামের দাম ২৮ হাজার টাকা ছিল, মোদি জির দয়ায় সেই সোনা এখন ৮৩,৪৩০ টাকায় দাড়িয়েছে।

মোদি সরকারের ঘোষিত নীতি “মানি টাইজেসন পাইপলাইন” এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত পি এস ইউ গুলো বেসরকারী করণের ফলে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে।২৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সংযুক্তিকরণের ফলে আজ ১২টি ব্যাংকে এসে দাড়িয়েছে।ব্যাংকের সাথে সাথে বীমা কোম্পানি গুলো জলের দরে বেসরকারী করণ করেছে মোদি সরকার। আরো তিনটি বীমা কোম্পানি বিক্রির অপেক্ষায় দিন গুনছে।ফলে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত, কর্মসংস্থান অনিশ্চিত এবং সংকুচিত হয়েছে।
মোদি জির প্রধানমন্ত্রীত্বে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মী নিয়োগ বন্ধ, বেকারত্ব গত ৪৫ বছরে রেকর্ড করেছে।
বিদেশী বিনিয়োগ নেই বললেই চলে, কৃষকদের ন্যায্য দাবি দাওয়া অপূরণ থেকেই গেল।
বিদেশী বিনিয়োগ কমতে কমতে একেবারে তলানিতে, বড় শিল্পপতিদের ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব, শেয়ার বাজারে ধস এমনটিই দেশে অর্থনীতির ভীত খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে।
নির্মলা সীতারামনের আগামী বাজেটেও শূন্যতার বাজেট নিয়ে আসছে।

দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন যদু বাবুর বাজার মোড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen + 3 =