দলের মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাঁর। সে প্রসঙ্গেই জানালেন, বয়সজনিত কারণে এ বার দল ছাড়তে চান।
শুক্রবার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা জানান, গত পাঁচ বছর দলের কোনও মিটিং-মিছিলে ছিলেন না যাঁরা, তাঁরাই এখন দল চালাচ্ছেন। পুলিশের খাতায় নাম আছে, এমন অনেককে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে। এঁদের হয়ে প্রচারে কী ভাবে যাবেন তিনি, সে প্রশ্ন তোলেন গিয়াস। মগরাহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানবেন্দ্র মণ্ডলই এখন এলাকায় দল চালাচ্ছেন বলে এ প্রসঙ্গে জানান তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার বয়স হয়েছে। শারীরিক ভাবেও অসুস্থ। সে কারণে দল থেকে সরে দাঁড়াতে চাই। এ কথা নেতৃত্বকে জানাব।’’ মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে এর আগে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলার বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে গিয়াসউদ্দিন এবং মানবেন্দ্র আলাদা ভাবে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। দু’পক্ষের লোকজনই দলের প্রতীক পেয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতা ভাগ হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না বিধায়ক। তাঁকে এ বিষয়ে বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
মানবেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কে কি বলল আমার জানার দরকার নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে ২৬৬ জন প্রার্থী আছেন। সব প্রার্থীকে জেতাতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।’’
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কে, কী করবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে প্রার্থী বাছাই সকলের মনের মতো না হতে পারে। তা নিয়ে অসন্তোষ থাকতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের আগে দলের চূড়ান্ত প্রার্থীরাই সকলের প্রার্থী। এখন এ সব নিয়ে কথা বলার সময় নয়। কেউ তা করলে দলের নজরে থাকবে।’’