অভীক পুরকাইত, কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার প্যারোডি নিয়ে এল সিপিএম। গ্রামবাংলায় লাল পতাকা ওড়াতে সেখানে মানুষের কাছে তাঁরা ডাক দিয়েছে। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে একসারিতে বসিয়ে ফের প্যারোডি বানাল সিপিএম।
তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিএমের সঙ্গীত শিল্পীরা সেটি তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এই গান ব্যবহার করবে তাঁরা বলে সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নবজোয়ার কর্মসূচি করেছিলেন সেখানেও গান ছিল— তৃণমূলে নবজোয়ার জিতব আমি, জিতবে তুমি’। এবার সেই নবজোয়ারকে সিপিএমের প্যারোডিতে তুলে আনা হয়েছে। খোঁচা দেওয়া হয়েছে গানের মাধ্যমে। আর এই গানটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ‘টুম্পা সোনা’ প্যারোডি তৈরি করে সাড়া ফেলেছিল সিপিএম। যদিও শূন্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের ফল বিজেপির থেকে ভাল হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দেওয়া যাবে। ফলাফল যা হবে তা পরে দেখা যাবে। আপাতত কেন্দ্রের এবং রাজ্যের শাসকদলকে ঠুকেই এই প্যারোডি তৈরি করলেন তাঁরা। এদিকে এই প্যারোডিতে ঘুষের চাষ থেকে শুরু করে কয়লা–বালি পাচারের টাকার কথা উঠে এসেছে। আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে ঘুষের টাকা নিয়ে বিজেপিতে গিয়ে সাধু সাজছে বলেও খোঁচা দেওয়া হয়েছে। রয়েছে সেখানে শুভেন্দুর কার্টুন চিত্রও। তবে এই প্যারোডি নিয়ে এখনও কোনও বিতর্ক তৈরি হয়নি পার্টির অভ্যন্তরে। যা হয়েছিল টুম্পা সোনা প্যারোডি নিয়ে। সুতরাং এই প্যারোডি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল–বিজেপিকে সমান আক্রমণ করা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই প্যারোডি এখন অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছে। আবার প্রকাশ্যে কেউ গাইতে না পারলে গুনগুন করে গাইছেন। গ্রামবাংলার পথে–ঘাটে এই প্যারোডি সোমবার থেকে বাজতে শুরু করবে বলে সূত্রের খবর। এবার ‘বারান্দায় রোদ্দুর’ গানের সুরে প্যারোডি তৈরি করেছে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নিজে গানটি পোস্ট করেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এই গান চালানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন প্যারোডি খুব দ্রুত মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা। তবে অবশেষে কি হবে এখন সেটাই দেখার।