অভীক পুরকাইত,যাদবপুর — সংগঠনের নাম কালেক্টিভ,যাদবপুরে সাম্প্রতিক ঘটনায় বিতরকের কেন্দ্রে এবার তারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-মৃত্যুতে এই পর্যন্ত ধৃতরা কেউ প্রাক্তনী ও কেউ বর্তমান ছাত্র। ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়। সূত্রের খবর এরা সকলেই কালেক্টিভ সংগঠনের সাথে যুক্ত। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সাংগঠনিক ভাবেই রেগিংকেতন লাই দেওয়া হত। ছাত্র সংগঠন এসএফআই, টিএমসিপি,আইশা ও এবিভিপি নাম পরিচিত। কিন্তু জনমানুষে প্রবল কৌতুহল কালেক্টিভ নামটি নিয়ে। পড়ুয়াদের দাবি দিনের পর দিন আশ্রয় দেওয়া থেকে বাঁচানোর কাজ চালিয়েছে এই সংগঠনটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে নানা নামে নানাভাবে কলকাতা বিভিন্ন এলিট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এই সংগঠন।
কখনো তাদের নাম ছিল ‘ত্রিপিল এফ’। কখনো ছাত্র আন্দোলন প্রস্তুতি বা ক্যাপ নামে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর এই সংগঠনের মূল কার্যালয়ে হুগলির উত্তরপাড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের দাবি মেন হোস্টেলের এ২ ব্লকেযেখানে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে সেখানে কালেক্টিভের একচ্ছত্র দাপট। ধৃত তিনজন ওই ব্লকে ওই সক্রিয়ভাবে ওই সংগঠনের হয়ে রাজনৈতিক কাজ করত।বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পড়ুয়াদের দাবিএরা দীর্ঘদিন ধরে রেগিং ও বুলিংও যৌন হেনস্থায় অভিযুক্তদের কেবল নিজেদের স্বার্থে আশ্রয় দিয়েছে। এবারেও তারা একই চেষ্টা করেছিল,কিন্তু একের পর এক গ্রেফতারিতে ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ সভা বা জিবির নামে কার্যত খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে বহু পড়ুয়াকে হেনস্তার অভিযোগ ধামাচাপা দিয়েছে ও উল্টে নিগৃহীতদেরই মানসিকভাবে হেনস্থা করেছে।এসএফআইয়ের অভিযোগ বাম আমলের সময় থেকে ডিএসএফ ফ্যাশ বিভিন্ন সংগঠন গুলিকে নিজেদের কব্জায় রেখে একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করেছে এই সংগঠন।
জানা গিয়েছে ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে এই সংগঠনের সঙ্গে বাকি পড়ুয়াদের মতান্তর এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ক্যাম্পাসে,এমনকি ওই ছাত্রের চিকিৎসা যেখানে চলছিল সেই হাসপাতাল চত্বরে বাকিরা তর্কাতর্ক কি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ সেই সময় রেগিং হয়নিসুলাও ব্যক্তি ন্যারেটিভ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ‘কালেক্টিভ’।