অধিকার বুঝে নিতে এককাট্টা লড়াইয়ের ডাক
অধিকার বুঝে নিতে এককাট্টা লড়াইয়ের ডাক

অভীক পুরকাইত – লুটের টাকা গরিবকে ফিরিয়ে দিতে হবে। অধিকারের লড়াইয়ে সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই সমাবেশে এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। রবিবার ঢোলা এবং সংগ্রামপুরে হয়েছে এই দুই সমাবেশ। ঢোলার সমাবেশে তৃণমূলের রাজনীতিতে ঘৃণা ছুঁড়ে সমর্থক প্রায় দেড় হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন লাল ঝান্ডার ডাকা সমাবেশে। সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআই(এম) সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী এবং জেলা নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলেছেন, লুটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে লালঝান্ডা। বিজেপি নয়। বিজেপি’র টিকিটে জিতে তৃণমূল করছে কৃষ্ণ কল্যাণী, অর্জুন সিংরা। দিদি এবং মোদীর লুটের বিরুদ্ধে এককাট্টা লড়াইকে ভাঙতে ধর্মের ভাগাভাগি করছে।

সেলিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে যারাই লড়ছে, সে কংগ্রেস হোক বা আইএসএফ, সবাইকে এককাট্টা করে লড়তে চায় সিপিআই(এম)। গরিবের লুট হয়েছে।সর্বত্র লুট। ছাত্রদের স্টাইপেন্ড থেকে নিয়োগের দুর্নীতি। দরকারে লুটেরাদের সম্পত্তি নিলাম করে টাকা ফেরাতে হবে গরিবকে।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘অনেকে বলছিলেন তৃণমূল করতে হয় বাঁচার জন্য। এখন বলছেন, বাঁচার জন্য তৃণমূল ছাড়তে হয়। বগটুইয়ে তৃণমূলেরই একপক্ষ অন্যপক্ষকে পুড়িয়ে মারল। ক্লাস ফোরের শিশুকেও রেহাই দেয়নি। লুটের জন্য বখরার জন্য খুনোখুনি মারামারি করছে প্রধানের সঙ্গে উপপ্রধান, ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়ক।’’

বিজেপি’র প্রচারকেও আক্রমণ করেন সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘ভাইপোকে জেরায় ডাকা হয়েছে। তা কি বিজেপি’র জন্য? মোটেই না। ২০১৪ থেকে দেশের সরকারে বিজেপি। রাজ্য একের পর এক দুর্নীতিতে জেরবার মানুষ। কারও শাস্তি হয়নি। ভাইপোকে জেরায় ডাকতে বলেছে হাইকোর্ট।’’ পুলিশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘উর্দি আছে, থানা আছে, বন্দুক আছে। কিন্তু চোর ধরে না, ধর্ষক ধরে না। উলটে তাদের পাহারা দেয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা, জেল, জরিমানা হয়েছে।লালঝাণ্ডা তোলা যাবে না। লালঝান্ডার দপ্তর খোলা যাবে না। কিন্তু সব কিছুরই শেষ আছে। মানুষ লালঝান্ডা তুলে নিচ্ছেন।’’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + 18 =