হস্টেলে র‍্যাগিং হবেই, প্রাণ গেলে…নির্বিকার ধৃতের বাবা,যাদবপুর থানায় জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তদের
হস্টেলে র‍্যাগিং হবেই, প্রাণ গেলে…নির্বিকার ধৃতের বাবা,যাদবপুর থানায় জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তদের

অভীক পুরকাইত–যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন দীপশেখর। এবার র‍্যাগিং নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন দীপশেখর দত্তের বাবা। সংবাদমাধ্য়মের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, কোনও হস্টেলে থাকতে গেলে র‍্যাগিংএর শিকার হতেই হয়। তাঁর মতে প্রাণ যদি কারও যায় সেটা তার ব্যাপার।তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে র‍্যাগিংএর সঙ্গে যুক্ত নয়। সে নির্দোষ। কিন্তু র‍্যাগিং বন্ধ নিয়ে তাঁর জবাব বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু কে করবে বন্ধ! আর ছাত্র মৃত্যু নিয়ে কার্যত নির্বিকার তিনি। এমনকী যে মারা গিয়েছে সেটা তার ব্যাপার বলেও উল্লেখ করছেন তিনি। একেবারে ভয়াবহ জবাব। সেই সঙ্গে উদ্বেগের।

তবে দীপশেখর আদালতে জানিয়েছেন, আমি নিজেও র‍্যাগিং এর শিকার। একদিন অন্তর আমার কাউন্সেলিং করানো হোক। জেল হেফাজতে যেতে চাইছেন তারা।

তবে এবার পুলিশের নজরে ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদার। যাদবপুর থানায় ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদার। তাকে জেরা করা হচ্ছে। তবে যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুর পরে দেখা যাচ্ছিল না অরিত্র মজুমদারকে। তবে এদিন তিনি যাদবপুর থানায় আসেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাকে জেরা করা হচ্ছে।একাধিক এসএফআই নেতার সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। এসএফআই নেতা রুদ্র চট্টোপাধ্য়ায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে রুদ্র বলেন, পুলিশের তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছি। যারা খুন করেছে তাদের সবরকমভাবে শাস্তি হোক এটা চাইছি। এদিকে অতি বাম একাধিক ছাত্র নেতা যাদের মৌরসী পাট্টা ছিল যাদবপুরে তারাও এবার পুলিশের নজরে।

মূলত অতি বামের নাম করে কারা ছড়ি ঘোরাত যাদবপুরে, মুক্তাঞ্চল করেছিল যাদবপুরকে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। ইন্ট্রোর নাম করে কারা র‍্যাগিং এর জাঁতাকল নামিয়ে আনত তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস আউট করার পরেও কেন তারা থাকতেন হস্টেলে সেটা দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এতদিন সব জেনেও কেন চুপ করেছিল কর্তৃপক্ষ? কাদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত বিশ্ববিদ্যালয়?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − 10 =