অভীক পুরকাইত — সাতসকালে স্কুলের সামনে দুর্ঘটনায় রণক্ষেত্র বেহালা। বড়িশা হাই স্কুলের সামনে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে স্কুল গেটের সামনে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। স্কুল ক্যাম্পাস ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক খুদে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বড়িশা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয় বেহালা চৌরাস্তা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।বড়িশা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, পুলিশকে বারবার বলা সত্ত্বেও স্কুলের সামনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় স্কুল চত্বর ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। স্কুলের মধ্যে একাধিক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। পুলিশের গাড়ি, বাসে ভাঙচুর চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাবার সঙ্গে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন ওই দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া । হঠাৎই তাদের ধাক্কা মারে পুরসভার মাটি বোঝাই একটি লরি । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। মৃতের নাম সৌরনীল সরকার (৭) । বাড়ি নবপল্লীতে । দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তার বাবা সরোজ কুমার সরকারও । প্রথমে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই পড়ুয়ার বাবাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে তাঁরও মৃত্যু হয় ।
শুক্রবার সকালে পথ দুর্ঘটনার পর থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বেহালার । ক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনতা । মৃতদেহ আটকে রেখে চলছে বিক্ষোভ। এমনকী পুলিশ ভ্যানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার সকালে বেহালা-চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের । তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল । তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। পরবর্তীতে আর এরকম হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
কলকাতার লরির ধাক্কায় মৃত্যু শিশুর, অবরোধ-টিয়ার গ্যাস, জনরোষে রণক্ষেত্র বেহালা