সুদীপ চন্দ,মালদা– পাঁচমাসের অন্ত:সত্ত্বাকে মারধোর করার অভিযোগ উঠল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরূদ্ধে। থানায় অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পুলিশ অভিযোগ এমনই ওই অন্ত:সত্ত্বার। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ওই অন্ত:সত্ত্বা। ঘটনাটি মালদহের চাঁচল থানা এলাকায়। অন্ত:সত্ত্বার স্বামী সিআরপিএফে কর্মরত। তাই অন্তঃসত্ত্বা পৈতিক ভিটেবাড়ি মালদার চাঁচলের দক্ষিণ পাড়ায় থাকেন। বাবা কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধা বিধবা মাকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন অন্তঃসত্ত্বা। অন্তঃসত্ত্বাকে সেই পৈতিক ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দখল করতে চায় চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি অমিতেশ পান্ডে। অন্তঃসত্ত্বা সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার অমিতেশ পান্ডের দিদি। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। আর সেই বিবাদ থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ, আমার বাবা নেই, মাকে নিয়েই আমি দক্ষিণ পাড়ায় থাকি। কিন্তু চাঁচলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা অমিতেশ পান্ডে আমাকে সেই বাড়িতে কোনমতেই থাকতে দিবে না। গত ২৯ তারিখ আমার মা দেওয়ালে একটি পেরেক ঠুকছিল ঠিক সে সময় অমিতেশ পান্ডে এবং তার দাদা অভিষেক পান্ডে লোহার রড হাতে নিয়ে এসে আমার মা কে মারধর করে। মায়ের কান্নার আওয়াজে আমি উঠে গিয়ে দেখি আমার মা পড়ে রয়েছে, মাকে বাঁচাতে গেলে আমার দুই দাদা আমাকে মারধর করে এবং আমার পেটে লাথি মারে। আমি বর্তমানে সাড়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তাদের অত্যাচারে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি তারপর হাসপাতালে যাই এবং সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলাম। গোটা ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা থাকার কারণে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। যদিও সমস্ত রকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাচোলের ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অমিতেশ পান্ডে। তিনি বলেন, আমার দাদু বিভূতিভূষণ পান্ডের এই বাড়ি এবং তার সম্পত্তি। তার সম্পত্তি তিনি কাকে দিবেন সেটা পুরোপুরি ভাবে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছি। তাই উনি আমাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। পাল্টা আমার দাদুকে উনি মারধোর করছেন বলে অভিযোগ করেন। আমার দাদুকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। তিনি যেসব অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন। চাচোল পুলিশে অভিযোগ করার পরেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় মালদা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দারস্ত হয়েছেন ওই অন্তঃসত্তা মহিলা। আর সমগ্র ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদাহের চাচোলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × one =