সুদীপ চন্দ ও রানা চক্রবর্তী, কলকাতা : ঐতিহ্যের ডুরান্ড কাপ। ইতিহাসের বড় ম্যাচ। ডুরান্ড কাপে আজ মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপে এটা ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় মোহনবাগানের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। মেরিনার্স দল দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রেখেছে অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচ ড্র করে ১ পয়েন্ট রোজগার করেছে। আবেগের বড় ম্যাচে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে অনেকটাই এগিয়ে ছিল সবুজ মেরুন। মরসুমের প্রথম ডার্বিকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। সিলেবাসের বাইরে থেকে ইস্টবেঙ্গলের অনবদ্য জয়।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে নন্দকুমারের একমাত্র গোলে ইস্টবেঙ্গলের জয়। খেলার শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল তাদের আক্রমণের ঝড় তুলে মোহনবাগানের ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে চলে। মোহনবাগান মাঝে মাঝে আক্রমণে এলেও তেমনভাবে কিছুই করে উঠতে পারেনি।
ইস্টবেঙ্গলর ডিফেন্সের শক্ত প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে বারবার ফিরে আসে। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে অধিনায়ক হরমানজিৎ সিং খাবরা, জর্ডান এলসিয়, মান্দার রাও দেশাই শক্ত প্রাচীর গড়ে তোলেন এবং মাঝমাঠে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন শৌভিক চক্রবর্তী । প্রথমার্ধেই ইস্টবেঙ্গল একটি সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু মোহনবাগান গোলরক্ষক ফিস্ট করে সে যাত্রায় দলকে বাঁচান। দ্বিতীয়ার্ধে এবং খেলার ৬১ মিনিটে খেলার জয়সূচক গোলটি অসাধারণ দক্ষতায় করেন নন্দকুমার। উনি আউটসাইড ডজে আনোয়ার আলীকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বলটি গোলে পাঠান।
এরপরেও মোহনবাগান চেষ্টা করেছিল সমতা ফেরানো কিন্তু তাদের কোন আক্রমণই সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি। খেলার শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, “যে এটি একটি ম্যাচ জেতা মাত্র, সেলিব্রেশনতো হবে যদি টিম ডুরান্ড যেতে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি চার বছর পর সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে।” অপরদিকে মোহনবাগান কোচ বলেন যে, আজকের ফলাফলে তিনি খুবই হতাশ। তিনি বুঝতেই পারছেন না কেন এরকম হলো। তিনি বলেন কাল থেকে তাদের ফোকাস থাকবে সিএফএল ও এএফসি কাপ নিয়ে।