ছোট ইলিশ বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় মৎস্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে   একাধিক মৎস্যজীবী সংগঠনের যৌথমঞ্চ ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন।
ছোট ইলিশ বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় মৎস্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মৎস্যজীবী সংগঠনের যৌথমঞ্চ

অভীক পুরকাইত,ডায়মন্ডহারবার,দঃ২৪ পরগনা-
চলছে ইলিশ ধরার মরসুম। সরকারি নিয়মে ২৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘের ইলিশ ধরা আইনত অপরাধ। চলতি বছরে রাজ্য মৎস্য/ দপ্তর বেশ কয়েকবার হানা দিয়ে ছোট ইলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এবার ছোট ইলিশ বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় মৎস্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব একাধিক মৎস্যজীবী সংগঠনের যৌথমঞ্চ ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন। দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অভিযোগ জানিয়েছে সংগঠন। ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা (‌ সামুদ্রিক)‌ পিয়াল সরদারের অফিস ঘেরাও করে ডেপুটেশন দিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠন। মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতৃত্বের অভিযোগ, গত ২৯ জুলাই ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দর থেকে দুটি পিকআপ ভ্যানে ৬টি ট্রলারের ইলিশ বিক্রির জন্য ডায়মন্ড হারবার মাছের আড়তে আনা হচ্ছিল। সেইসময় গাড়ি দুটিকে আটক করা হয়। আটকের পর ট্রলার মালিকদের অন্ধকারে রেখে ছোট ইলিশ বাজেয়াপ্ত করার নামে ২২৯ ক্রেট ইলিশ বেআইনিভাবে নিলাম করে দেয় মৎস্যদপ্তর। সরকারি নিয়ম না মেনে ট্রলার মালিক কোন টাকাও পায়নি। অথচ সেই ইলিশ ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় নিলাম হয়েছে। সরকারিভাবে দেখানো হয়েছে মাত্র নিলাম করা মাছের দাম ৫০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় ৬টি ট্রলারের প্রায় ১০০ জন গরীব মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিক বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সপ্তাহখানেকের মধ্যে মাছ নিলামের প্রকৃত অর্থ ফেরত না পেলে লাগাতার মৎস্য দপ্তর ঘেরাও ও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সহ মৎস্য অধিকর্তা পিয়াল সরদার, ছোট ইলিশের নিলাম নিয়ে কিছু ত্রুটির কথা মানলেও দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। উল্টে আইন মোতাবেক কাজ করায় তাঁর বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − 12 =