যাদবপুরের মেন হোস্টেলের প্রতিবেশীদেরও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ
যাদবপুরের মেন হোস্টেলের প্রতিবেশীদেরও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ

অভীক পুরকাইত,কলকাতা- এরকম একটি ঘটনা ঘটবে আমরা ভাবতেই পারিনি বললেন প্রতিবেশীরা। এখন মনে হচ্ছে ওদের ছবি তুলে রাখা উচিত ছিল,জানালেন মেন হোস্টেল অঞ্চলের আশেপাশের বাসিন্দারা। মেন হোস্টেলের প্রতিবেশীদেরও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ। রাত বারোটা থেকে শুরু হতো এদের আসল রূপ। ভোর পর্যন্ত হোস্টেলের মাঠে চলত ক্রিকেট খেলা,তার সাথে চলতো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বারংবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। উল্টে অভিযোগ জানানোর জন্য পাড়া প্রতিবেশীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হত,দাবি প্রতিবেশীদের।সব থেকে বাজে ছেলে সত্যব্রত জানায় এলাকাবাসীরা। সকল বয়সের মহিলাদের উপর অকথ্য ভাষায় টোন টিটকারি করা হতো বলে জানা যাচ্ছে। ভোর পর্যন্ত চলতো চিৎকার চেঁচামেচি তার সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।হোস্টেলে ছেলেদের অত্যাচারে
নাভিশ্বাস উঠেছিল এলাকাবাসীর। মদ্য পান করে সেই খালি মদের বোতল ছড়া হতো এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে। টুর্নামেন্টের সময় চালানো হতো নোংরা গান।সারা রাত ফাটানো হতো চকলেট বোম। রোজ রাতে হোস্টেলের ছাদে বসত নেশার আসর। এলাকাবাসীকেও রীতিমতো রাগিং করা হতো বলে জানিয়েছেন অঞ্চলের মানুষ।এমন কটু কথা বলা হত যাতে হোস্টেলের দিকে জানলা সারা বছর এমনকি গরমের সময়ও বন্ধ রাখতে হত। প্রতিবেশী এক ডাক্তারবাবু তার ছাদে সকালে পুজো করতে গেলে তাকে বিয়ের মন্ত্র পড়তে বলা হত, ডাক্তার তোর মেয়েকে বিয়ে করতে আসছি । অভিযোগ এলাকার মানুষের। এমনকি মেয়েদের অন্তর্বাস পরিয়ে ছেলেদের অত্যাচার করা হতো। সেই দৃশ্য দেখেন এলাকার বহু মানুষ।এই অঞ্চল থেকে হোস্টেল তুলে দেওয়ার দাবি জানান এলাকার মানুষ।স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর হোস্টেল এখন অনেক শান্ত,তবে এলাকাবাসীরা বলেন একজন তরতাজা ছাত্রের মৃত্যুর বিনিময়ে এই শান্তি আমরা চাইনি। অভিযোগ ওঠে হোস্টেলের সুপারের বিরুদ্ধে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − seven =