ক্যাম্পাসে নেশা করা অধিকার’!বলে নিন্দার মুখে যাদবপুরের ছাত্রী
ক্যাম্পাসে নেশা করা অধিকার’!বলে নিন্দার মুখে যাদবপুরের ছাত্রী

অভীক পুরকাইত,যাদবপুর–যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর এই অভিযোগ নানা মহল থেকে উঠেছে। এর স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন এক পড়ুয়া। শ্রীজাতা বাগচি নামে কলা বিভাগের এক পডুয়ার দাবি করেছেন, ক্যাম্পাসে মদ্যপান তাঁদের অধিকার।
পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যত্রযত্র পড়ে আছে মদ-বিয়ারের বোতল। যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর এই অভিযোগ নানা মহল থেকে উঠেছে। এর স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন এক পড়ুয়া। শ্রীজাতা বাগচি নামে কলা বিভাগের এক পডুয়ার দাবি করেছেন, ক্যাম্পাসে মদ্যপান তাঁদের অধিকার। যদি পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের জন্য সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন।অনলাইন মিডিয়ায় শ্রীজাতা নিজেকে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সদস্য হিসাবে দাবি করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিয়ারের বোতল পাওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। এমন নয়, তাঁরা মদ ছোঁয় না। তাঁরা নিজেদের নিজদের বাড়িতে বসে মদ্যপান করেন। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে মনে করি। ক্যাম্পাসের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপান করার সম্পূর্ণ অধিকার আমাদের রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন,’এই অধিকার আমাকে কেউ দেয়নি। এটা আমার অধিকার। তবে স্কুল পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের মধ্যে এই ধরনের কাজ করা উচিত নয়। কারণ তাঁরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। আমি একবারও বলছি না সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মদ্যপান করুক। কিন্তু কেউ যদি চায়, বাথরুমে গিয়ে মদ্যপান করতে পারে। সিসিটিভি লাগিয়ে বা নজরদারি করেও সেটা আটকানো যাবে না। আমরা সেই নজরদারি করার বিরুদ্ধে।’এই মন্তব্যের পর শুরু হয় নিন্দার ঝড়। পরে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন শ্রীজাতা। তিনি লিখেছেন,’সংবাদমাধ্যমে করা আমার বিভিন্ন মন্তব্য এদিক ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু আমি কলা বিভাগ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি, তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত দূরে সরিয়ে রেখে মদ্যপান ও ধূমপান নিয়ে করা আমরা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি।’ সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গ তাঁর বক্তব্য, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি আমাদের ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের খুব একটা লাভ হবে না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − ten =