রানা চক্রবর্তী, কলকাতা : এএফসি কাপের মুল পর্বে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিন যুবভারতীতে শক্তিশালী ৬ জন বিদেশীর বাংলাদেশ আবহনীকে ৩-১ গোলে হারালো গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। যদিও এদিনের জয়টা খুব একটা সহজ ছিল না। বাগান বক্সে ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে আবহনী।এদিন ম্যাচের শুরুতেই ২ মিনিটের মাথায় লেফট উইং ধরে কোলাসো আবাহনীর অর্ধে পৌঁছে যান। কিন্তু কোনো লাভহয়নি। ৯ মিনিটে হুগো বৌমসকে ফাউল করার দায়ে হলুদ কার্ড দেখেন ডেভিড। আর ১৭ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে মোহনবাগান। বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথের ভুলে বাগানের জালে বল আবহনীর কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। গোল খেয়ে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে মোহনবাগান। আর ফলও পাওয়া গেল।৩৭ মিনিটে হুগো বুমোসকে বক্সে ফাউল করে আবহনী। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স । এরপর ফের আবহনী বক্সে গিয়ে গোলের সুযোগ পেয়ে বল বাইরে মারলেন কামিন্স।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে।হাফটাইমের পরে দেখা গেলো অন্য মোহনবাগানকে। একের পর এক আক্রমণে আবহনীকে একেবারে ছিন্নবিন্ন করে দেয়।৫২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন শুভাশিস বসু।৫৮ মিনিটে ফের গোল পায় মোহনবাগান। আবহনী বক্সে গতিতে গিয়ে সতীর্থর দিকে পাস দিতে যান হুগো বুমোস কিন্ত সেই বল বের করতে গিয়ে নিজের বক্সেই সেমসাইড গোল করে নেন আবহনীর মিলাদ।৬০ মিনিটে ফের গোল পায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। লিস্টন কোলাসো আর হুগো বুমোসের পাসে গোল করে যান সাদিকু।৩ গোল করে ডিফেন্স মুডে চলে যায় মোহনবাগান।৭৫ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর পরিবর্তে মাঠে নামলেন আশিক। আর সাহালের পরিবর্তে মাঠে নামলেন গ্লেন।৮৮ মিনিটে আশিক কুরিয়ান দ্রুত গতিতে আবহনী বক্সে ঢুকে গিয়ে কিয়ানকে পাস দিতে গেলে গোলের সুযোগ তৈরী হয়। কিন্তু সেমসাইডে গোলকরা আবহনীর মিলাদ বাঁচিয়ে নেন। অতিরিক্ত সময় ৪ মিনিট দেওয়া হয়। তবে লাভ হল না বাংলাদেশের দলের। জিতেই মূল পর্বে মোহনবাগান। মাঠে উপস্থিত ২০ হাজারের ওপর সমর্থক জয় মোহনবাগান স্লোগান দিতে দিতেই স্টেডিয়াম ছাড়লেন।