তৃণমূলের নাকি আইএসএফের? রাস্তা কার? ভাঙড়ের একটি ঢালাই রাস্তা ঘিরে এখন এমনই প্রশ্ন বাসিন্দাদের। আসলে দু’পক্ষই দাবি করছে রাস্তার মালিক তাঁরা (TMC-ISF fight) । তাই ইচ্ছেমতো রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে এক পাড়ার লোক অন্য পাড়ায় যেতে পারছে না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, হাসপাতাল, মসজিদে যেতেও সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার দখলদারি নিয়ে ভাঙড়ের বড়ালিতে তুমুল উত্তেজনা। থানা পুলিশও হয়েছে। পঞ্চায়েতের দরজায় কড়া নেড়েও নাকি কোনও সমাধান হয়নি, বলছেন বাসিন্দারা । ভাঙড় ১ ব্লকের প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীন বড়ালি গ্রামের মাঝেরপাড়া থেকে মল্লিকপাড়া হয়ে নলমুড়ি হাসপাতাল পর্যন্ত একটি ঢালাই রাস্তা আছে। মাঝেরপাড়া ও মল্লিকপাড়ার কয়েকশো মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। এলাকার মানুষ জানান, দু’দশক আগে স্থানীয় মানুষজনই নিজেদের ব্যবহারের জন্য জায়গা দান করে মাটির রাস্তা তৈরি করেছিলেন। বছর দশেক আগে ওই রাস্তা তৃণমূল সরকার ঢালাই করে দেয়। তাতে আরও একটু সুবিধা হয় স্থানীয় মানুষদের। কিন্তু সম্প্রতি গন্ডগোল বেঁধেছে এই রাস্তাটি নিয়েই। এলাকায় আইএসএফ ও তৃণমূলের দ্বন্দ্বে মাঝেরপাড়ার লোকের জন্য এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মল্লিকপাড়ার লোক মাঝেরপাড়ার মসজিদে যেতে পারছে না। পাল্টা মল্লিকপাড়ার আইএসএফ সমর্থকরা মাঝের পাড়াকে ‘জব্দ’ করার জন্য তাঁদের পাড়ার রাস্তা আটকে দিয়েছে। ফলে মাঝেরপাড়ার বাসিন্দারা নলমুড়ি হাসপাতাল ও অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে যেতে পারছে না।আইএসএফ সমর্থক ফারুক মোল্লা বলেন, “সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। ওরা রাস্তা খুলে দিলে আমরাও খুলে দেব।” এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা আহসান মোল্লা বলেন, “রাস্তা নিয়ে আইএসএফ নোংরা রাজনীতি করছে। এভাবে রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলা ঠিক হচ্ছে না।”
দু-দলই মানছে মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সমাধান কোন পথে জানা নেই কারও।
জেলার রাস্তার দখল নিয়ে তৃণমূল-আইএসএফের লড়াই, ভাঙড়ে নাকাল বাসিন্দারা