সুদীপ চন্দ ও রানা চক্রবর্তী, কলকাতা : ইস্টবেঙ্গলের এখনও তৈরি হওয়া বাকি আছে। ডার্বির আগেই হতাশ করল লাল হলুদ। প্রথমার্ধে আক্রমণত্মক খেলার পর দ্বিতীয়ার্ধেই যেন ছন্দপতন হল লাল হলুদ ব্রিগেডের। যে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে মোহনবাগানের কার্যত জুনিয়র দল ৫-০ গোলে জিতেছিল। সেই বাংলাদেশ আর্মির কাছেই আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ফলাফল ২-২ (ইস্টবেঙ্গল : 2 (Saul Crespo (34’), Siviero (45’+4’) ও বাংলাদেশ আর্মি : 2 (Sahariar Emon 88’ Meraj Pradhan 90’+7’)) । সুতরাং ডার্বির জন্য ইস্টবেঙ্গল কতটা তৈরি তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও কোচ ম্যাচের শেষে বললেন, ডার্বির আগে যথেষ্ট সময় আছে। আজ সব খেলোয়াড়দেরকে একবার পরীক্ষা করে নেওয়া হল। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই মন খারাপ করে মাঠ ছাড়তে হল সমর্থকদের।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল বেশ চাপ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে। ম্যাচের প্রথম কয়েক মিনিটেই জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন সিভেরিও। কিন্তু সেটা হাত দিয়ে। ফলাফল রেফারির থেকে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। এরপর ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ায়। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বক্সে ইস্টবেঙ্গলের নিশু কুমারকে ফাউল করা হয়। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ক্রেসপো। আত্মবিশ্বাস বাড়ে দলটার। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করেন সিভারিও। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেকবেশি শান্ত হয়ে যায়। দেখে মনে হচ্ছিল কোচ এবং খেলোয়াড়রা ধরেই নিয়েছিলেন যে ম্যাচ তারা জিতে গিয়েছে। তাই কোচও শুরু করে দেন পরীক্ষা। এমনকী ২৪ ঘন্টাও হয়নি কলকাতায় পা রেখেছেন জর্ডনকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন কোচ। যদিও কোচ বললেন যে জর্ডন নিজের দেশে খেলার মধ্যেই ছিলেন। তাই তাকে নামানোটা অসুবিধের বিষয় ছিল না। এরপরেই তার ফল ভুগতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে৷ তার মাঝে বাজে আচরণের জন্য লাল কার্ড দেখেন নিশু কুমার। দশ জনে খেলে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের একদম শেষ মূহুর্তে জর্ডনের মিস পাসে গোল করেন বাংলাদেশের ইনন। তখনও ২-১ গোলে জিতছে ইস্টবেঙ্গল। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময় দ্বিতীয় ভুলটি করেন হরমোনজ্যোৎ সিং খাবরা। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে গোল করেন বাংলাদেশের মিরাজ প্রধান।
সুতরাং এই সমস্ত খেলোয়াড়দের দেখে নিতে গিয়েই হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের শেষে কোচ কুয়াদ্রাত ভরসা দিয়ে গেলেন ডার্বি জেতার।