৪ঠা জুন, কলকাতা, সুদীপ চন্দ ও সন্দীপন দত্ত: আজ ৪ঠা জুন রবিবার, জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার পুণ্য তিথি। রথের আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পালিত হয় । এই দিন ১০৮ টি ঘটিতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিন বিগ্রহকে স্নান করানো হয়।
কথিত আছে, এই পুণ্য স্নানযাত্রা দেখলে সব পাপ ধুয়ে যায়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মনে করা হয়, এরপর জ্বর আসে তিন ভাইবোনের। জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনটিকে জগন্নাথের জন্মতিথি বলে মনে করা হয়। কারণ মনে করা হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করা হলে সব পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
স্কন্দপুরাণম্-এ অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। স্নানযাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহনের বিগ্রহের একটি বিশাল শোভাযাত্রা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয়। ভক্তেরা এই সময় জগন্নাথকে দর্শন করতে আসেন। এর পর স্নানযাত্রার দিন মন্দিরের উত্তর দিকের কূপ থেকে জল এনে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে সেই জলের শুদ্ধিকরণ করা হয়। তারপর ১০৮টি কলসীর জলে বিগ্রহগুলিকে স্নান করানো হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে মনে করা হয় যে এই স্নানের পরেই জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা – তিন ভাইবোনই। এই সময় তাঁদের রাজবৈদ্যের চিকিৎসাধীনে আলাদা একটি সংরক্ষিত কক্ষে রাখা হয়। এই অসুস্থতার পর্যায়টি ‘অনসর’ নামে পরিচিত।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো কলকাতার ইসকন মন্দিরে একই চিত্র চোখে পরে এই দিন। কলকাতার ইসকন মন্দিরে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা সূচনা করেন মেয়র পারিসদের সদস্য দেবাশীষ কুমার। এছাড়াও ছিলেন ইসকন মন্দিরের বিভিন্ন সন্ন্যাসী বৃন্দ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।