পাঁচিল টপকে ঢুকত...', যাদবপুরে মাদকের কারবার? বিস্ফোরক প্রাক্তন উপাচার্য
পাঁচিল টপকে ঢুকত…’, পাঁচিল টপকে ঢুকত…’, যাদবপুরে মাদকের কারবার? বিস্ফোরক প্রাক্তন উপাচার্য কারবার? বিস্ফোরক প্রাক্তন উপাচার্য

অভীক পুরকাইত,কলকাতা– বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। ক্যাম্পাসে নজরদারিতে গাফলতি নিয়ে আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকে। একইসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ‘নেশার আখড়া’ বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদের বোতল। ক্যাম্পাসে দেদার মাদক সেবনের অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য চমকে দেওয়ার মতো দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘রেললাইন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচিল রয়েছে। মধ্যরাতের পর পাঁচিল টপকে অনেকে ক্যাম্পাসে ঢুকত। তারা মাদক বিক্রি করার জন্যই আসত। উপাচার্য থাকার সময় আমি দু-একজনকে ধরতে পেরেছিলাম। সবাইকে ধরতে পারিনি। কারণ তাঁরা পালিয়ে যেত। একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। পাঁচিলের উপর কাঁটাতার লাগিয়ে ঘিরে ফেলেছিলাম।’
অধ্যাপক চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ঝিলপাড়ে বসেই বেশিরভাগ মাদক সেবন, মদ্যপান ও অশ্লীলতার কাজ হত। সেই জায়গাও কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলেছিলাম। কিন্তু পরে সেই কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে ফেলা হয়। আমরা সময় বিশ্ববিদ্যালয় গেটেও নজরদারি চলত। আমি চলে আসার পর শুনেছি বা সংবাদপত্রে পড়েছি, সেই নজরদারি তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই একটি প্রাণ চলে গেল। যাঁরা নজরদারি তুলে নিয়েছিলেন বা বাধ্য করেছিল এই ঘটনার জন্য তাঁরাও পরোক্ষভাবে দায়ী।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অভিজিৎ চক্রবর্তীর মেয়াদকালে ‘হোক কলরব’ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে শহর। অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকানোর অভিযোগ তুলে তুমুল আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। অভিজিৎ বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে আমি যে পদক্ষেপ করেছিলাম, তাতে মৌচাকে ঢিল পড়েছিল। শ্লীলতহানির মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে একটা আন্দোলন তৈরি করে আমাকে ঘেরাও করা হয়েছিল। ঘেরাওয়ের সময় পড়ুয়া আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ইসিতে আলোচনা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘেরাও অনৈতিক ও পণবন্দি পদ্ধতি। পুলিশ এলে পণবন্দিদের উদ্ধার করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েনি যে পুলিশ পড়ুয়াদের মেরেছে। ধস্তাধস্তি ও টানাটানিতে কেউ আহত হয়ে থাকতে পারেন। এই ঘেরাও করে যাঁরা তখন ছাত্রদের মদত দিয়েছিল, তাঁরাও পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার জন্য ১০০ ভাগ দায়ী।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =